ইভিএম দিয়ে ভোট দেওয়ার নিয়ম | ২০২২
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বিন্দু আশা করি তোমরা ভালো আছো। আজ তোমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়ে লিখলাম। আর্টিকেলটি হলো ইভিএমে ভোট কিভাবে দিবেন। বর্তমানে প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ লোক ইভিএমে কিভাবে ভোট দেয় জানে না। তাই আজকের আর্টিকেলটি ইভিএম দিয়ে ভোট দেওয়ার নিয়ম, তাহলে জেনে নিন।
গত কয়েক বছর আগে ও মানুষ ভোট দিতে কত ঝামেলায় পড়তো। হাতের আঙ্গুলে কালি লাগাতে হইতো। ভোটার নাম্বার লাগতো, কয়েক গুলো সিল মারা হইতো। ব্যালাড পেপারে সিল মেরে, সুন্দর করে বাজ করে বাক্সে ডুকাতে হইতো। তার পর ভোট দেওয়া সম্পূর্ণ হইতো। ভোট দেওয়ার জন্য কত ঝামেলায় পড়তে হইতো।
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
ইভিএমে ভোট দেওয়ার নিয়ম
ভোটার দাতা মার্কা বরাবর সিল না মারলে ভোট বাতিল হইতো। মার্কার কাগজের সুন্দর করে ভাজ না করলে, ভোট বাতিল হইতো। আরো কত ঝামেলা হইতো। বিশেষ করে ঝাল ভোট নিয়ে কত ঝামেলা হইতো। কত মারা মারি কাটা কাটি হইতো।
কিন্তু বর্তমান সময় প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট দেওয়া যায়। কোনো সিল মারা লাগে না। সব কিছু ইভিএম এর মাধ্যমে হবে, এতে শুধু আপনার আঙুলের চাপ লাগবে। আর আপনি মার্কা বা নাম দেখে সবুজ বাটন চাপুন। আশা করি আপনার ভোট হয়ে যাব। তাহলে শুরু করা যাক।
ইভিএম মানে কি? / EVM কি?
এটি একটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেসিং। অর্থাৎ ইংরেজিতে (Electronic votingvoting Machine) নামে পরিচিত। এইটি আধুনিক বিশ্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট প্রয়োগ বা সংশ্লিষ্ট ভোটারদের স্বীয় মতামত প্রতিফলনের অন্যতম মাধ্যম। ভোট প্রয়োগে মেশিন বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অণুসৃত হয় বিধায় সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নামে পরিচিত।
বর্তমান এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজে ভোট দেওয়া যায়। কোনো ঝামোল ছাড়াই ভোট দেওয়া যায়। এই ইভিএম মেসিং দিয়ে খুব দ্রুত ভাবে ভোট গননা করা যায়।
আরো পড়ুনঃ
সিম রেজিষ্ট্রেশন চেক করার নিয়ম
বিকাশে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
জিমেইল একাউন্ট খোলার নিয়ম
ইভিএম দিয়ে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা অনুযায়ী, একজন লোক ভোট কেন্দ্রে আসার পর, ভোট দেওয়ার কক্ষে ডুকতে হবে। তারপর কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে প্রিজাইডিং অফিসার প্রথমে ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড অথবা আঙুলের ছাপ ও ভোটার নম্বর যাচাই করে নিবেন। তারপর ভোটার হিসেবে তাকে নিশ্চিত করবেন।
এ সময় ভোটারের ছবি ও তথ্য, টিভির মত দেখতে একটি মনিটরে প্রদর্শিত হবে। যাতে সকল প্রার্থীর এজেন্টরা ভোটারের পরিচয় দেখতে পারেন। এতে এজেন্টে থাকা সবাই নিশ্চিত হতে পারবে।
ভোটারকে শনাক্তকরণের পর গোপন কক্ষে থাকা ইভিএম মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে। যতগুলো পদ বা মার্কার জন্য ভোট প্রদান করতে হবে কক্ষের ভেতরে ঠিক ততগুলো ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট রাখা থাকবে। পাঠকের সুবিধা অনুযায়ী কিছু ছবি দিলাম, যাতে বুঝতে সুবিধা হয়।
এই তিনটি ইউনিটে প্রার্থীদের প্রতীক বাম পাশে এবং নাম ডান পাশে দেখা যাবে। এর পর ইভিএম পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে তার প্রতীকের বাম পাশের সাদা বাটনে চাপ দিতে হবে।
সাদা বাটম চাপ দেওয়ার সাথে সাথে প্রতীকের পাশে বাতি জ্বলে উঠবে। ভোট নিশ্চিত করতে ডান পাশের সবুজ বাটনে চাপ দিতে হবে। ঠিক একই ভাবে অন্য পদ বা মার্কার জন্য ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
EVM ভোট দেওয়ার নিয়ম
বিশেষ করে মনে রাখবেন
আপনি যদি কোনো কারণে ভুল প্রতীক শনাক্ত করেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার পছন্দের প্রতিক শনাক্ত করতে পারবেন। যদি ভূল করে মার্কা বা প্রতীকে শনাক্ত করেন, তাহলে সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার আগে তা সংশোধন করতে পারবেন। ভুল সংশোধনের আগে আপনি ডান পাশের লাল বাটনে চাপ দিতে হবে।
এর ফলে আপনি নতুন করে ভোট দেওয়ার প্রতীক শনাক্ত করতে পারবেন। সঠিকভাবে পুনরায় আপনার পছন্দের প্রতীকের পাশের বাটনে চাপ দিন। তারপর সবুজ বাটনে চাপ দিয়ে আপনার মূল্যবান ভোট প্রক্রিয়া শেষ করুন। সবুজ বাটনে চাপলে আপনার ভোট হয়ে যাবে।
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনাকে বুঝাতে পারলাম, কিভাবে ইভি এম মেসিং এ ভোট দিতে হয়। মনে রাখবেন আপনার পছন্দের প্রতীক শনাক্ত করে, সবুজ বাটন চাপলে ভোট হয়ে যাবে। এতে আপনি খুব সহজে দেখতে পাবেন। সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার পর ভোট দেওয়া প্রতীক ছাড়া বাকি সকল প্রতীক অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতে ভোটারের মন নিশ্চিত হবে, সেই তার পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে পারছে।
ইভিএম মেসিং ভোট দেওয়ার নিয়ম
পাঠক বিন্দু মনে রাখবে, আপনি যদি তিন বার ভূল প্রতীক চাপুন। মানে আপনার পছন্দের প্রতীক বা মার্কা চাপতে পারেন নাই। তিন বার ভূল প্রতীক বা মার্কা চাপলেন। তাহলে অটোমেটিক ইভিএম মেসিং আপনার মূল্যবান ভোট গ্রহন করে নিবে।
তৃতীয় বার ভূল করে যে বাটনে চাপলেন, সেই বাটন অনুযায়ী আপনার ভোট গ্রহন করা হবে। তাহলে সুন্দর করে স্হির হয়ে, আপনার পছন্দের প্রতীক চাপুন, আর সবুজ বাটন চেপে ভোট নিশ্চিত করুন।
না ভোট দেওয়ার নিয়ম
অনেক ভোটার আছে, তারা কোনো প্রার্থীকে ভোট দিতে চায় না। কারণ তারা কাউকে পছন্দ করে না। তাই তারা চাইলে না ভোট দিতে পারবে।
না ভোট দিতে চাইলে, আপনি টেপের লাল বাটন দুই বার চাপুন।
সর্বশেষ কথা
প্রিয় পাঠক বিন্দু আপনি ভোটার হয়েছেন কিনা, সেটা নিশ্চিত হয়ে ভোট দিতে আসুন। অযথা ভোটার না হয়ে, ভোট দিতে আসলে অপমান বা শাস্তি হতে পারে। আর আপনি কোন কেন্দ্রের ভোটার সেটা নিশ্চিত করুন।
আর আপনার ভোটার নাম্বার বা জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা স্মার্ট কার্ড, যে কোনো একটি তথ্য থাকলে ভালো হবে। এতে আপনি ভোট দিতে গিয়ে ঝামেলায় পড়বেন না, আশা করি।
তাহলে আশা করি বুঝাতে পারলাম, ইভিএম দিয়ে ভোট দেওয়ার নিয়ম ।