ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম | ২০২২
আমাদের প্রয়োজনের তাগিদ অনুযায়ী, আমরা প্রতিদিন কাজ করে থাকি। প্রতিদিনের চাহিদার জন্য যে কোনো পেশায় আমরা টাকা আয় করে থাকি। আমাদের কষ্টের উপার্জনের টাকা নিরাপদে রাখার জন্য, বিভিন্ন ব্যাংকে আমরা একাউন্ট করে থাকি। ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে লিখলাম।
আমাদের দেশে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক রয়েছে। যেমন এশিয়া, অগ্রণী, ইসলামী, ইউসিবি, সোনালী, ঢাকা, ডাচ বাংলা সহ ইত্যাদি ব্যাংক রয়েছে। তার মধ্যে ইসলামি ব্যাংক অন্যতম জনপ্রিয়তা। সব ব্যাংক গুলোতে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
কিন্তু অন্য ব্যাংক অনুযায়ী ইসলামি ব্যাংকে অনেক সুযোগ সুবিধা ও রয়েছে। তাই যত দিন যাচ্ছে ইসলামি ব্যাংকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলে থাকে।
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার উপায়
আবার অনেকে নিজের টাকা নিরাপদে রাখার জন্য, কোন ব্যাংকে টাকা রাখবে চিন্তায় থাকে। কারণ সারাদেশে ব্যাংকের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা মানুষদের বিভিন্ন রকমের লোভ দেখিয়ে, তাদের সাথে প্রতারণা করে থাকে।
যে কিছু বীমা কোম্পানি আছে, দেখতে ব্যাংকের মতো। কিন্তু তারা মানুষের কোটি কোটি টাকা নিয়ে গেছে। তাই কিছু মানুষের বীমা বা ব্যাংকের প্রতি আস্থা নাই। যারা নিজের টাকা কোথায় রাখবেন চিন্তায় আছেন। এমনকি ভবিষ্যত পরিকল্পনা করে সঞ্চয় করতে চান।
তাহলে আপনাদের চিন্তা নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশস্ত ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক। আপনি চাইলে ইসলামি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারেন খুব সহজে। ভবিষ্যত পরিকল্পনা বা ডিপিএস সহ যে কোনো টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। অনন্য ব্যাংক অনুযায়ী ইসলামি ব্যাংকে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
তাহলে আর দেরি না করে, ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট খুলুন। আর নিজের কষ্টের টাকা জমা রাখুন। আবার নিজের চাহিদা মতো যে কোনো সময় টাকা তুলুন। ইসলামি ব্যাংক হলো আন্তর্জাতিক ব্যাংক। এই ব্যাংকে সারাবিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে টাকা লেন দেন হয়ে থাকে।
আপনার বাবা, ভাই ইত্যাদি আত্মীয় স্বজনরা যে দেশে থাকুক না কেনো। ইসলামি ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবে খুব সহজে। তাই আজ আমি ইসলামি ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করতেছি। এমনকি ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে লিখলাম। তাহলে চলুন শুরু করা যাক
ইসলামী ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা
দেশে সব গুলো ব্যাংকে সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে ইসলামি ব্যাংকে সুযোগ সুবিধা অধিক রয়েছে। তাই খুব দুরুক্ত ভাবে ইসলামী ব্যাংক জনপ্রিয়তা লাভ করছে। নিচের কিছু সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরলাম।
১. আপনি নিজের একাউন্টে নগদ টাকা জমা দিতে পারবেন। এমনকি উত্তোলন ও করা করতে পারবেন। এবং যে কোন একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
২. আপনার যারা প্রবাস থাকে। তারা বিদেশ থেকে সরাসরি একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবে। যত টাকা পাঠাবে উক্ত টাকা উপর শতে ৩% বোনাস পাবেন। মানে প্রতি লাখে ৩ হাজার টাকা লাভ পাবেন।
৩. আপনার আত্মীয় স্বজন প্রবাস থাকলে। তারা পিন নাম্বার বা গোপন নাম্বারে 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত। একসাথে পাঠাতে পারবেন আপনার একাউন্ট।
৪. ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর। স্বল্প সময়ের মধ্যে চেক বই পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ অগ্রণী ব্যাংক লোন নিয়ে বিস্তারিত | আপনি কি লোন পাবেন?
ইসলামী ব্যাংকের সুবিধা সমূহ
৫. অল্প কয়েক দিনের মধ্যে এটিএম কার্ড পেয়ে যাবেন। যদি নিতে চান, তাহলে একাউন্ট খোলার ১,২ সাপ্তাহ পর তাদের বলতে হবে।
৬. সুদ মুনাফা বিহিন বীমা করতে পারবে, ৫ বছর বা ১০, ১২ বছরের জন্য।
৭. নগদ টাকা দিয়ে এক কালিন ডিপিএস করতে পারবেন। যা অনেক লাভ পাওয়া যায়।
৮. যেকোনো ব্যাংকের কেয়ারিং চেক গ্রহণ করা হয়।
৯. বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, সহ বিভিন্ন প্রকার জিনিসের বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
১০. এটিএম কার্ড দ্বারা ATM/POS মেশিন থেকে সহজে টাকা উত্তোলনের সুবিধা রয়েছে।
১১. মাসিক এবং বার্ষিক বীমা প্রকল্প রয়েছে। এমনকি ডিপিএস ও করতে পারবেন।
এই রকম আরো অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যা অনন্য ব্যাংকের নেয় আলাদা সুবিধা রয়েছে। তাই ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানুন। আর একাউন্ট খুলে নিন।
আরো পড়ুনঃ
ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খুলুন মাত্র ২ মিনিটে ২০২২
রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২
নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২
ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট সমূহ
অনন্য ব্যাংকের মতো ইসলামী ব্যাংকে ও বিভিন্ন ধরনের একাউন্ট খোলা যায়। লোকজনের সুবিধার জন্য, একক একাউন্টের সুবিধা একক রকম। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ফ্রি একাউন্ট খোলার সুযোগ রয়েছে।
মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিশেষ দিন এবং অফার অনুযায়ী ইসলামি একাউন্ট ফ্রি করা যায়। মূলত সবাইর জন্য একাউন্ট ফ্রি। একাউন্ট খোলার জন্য কিছু উপকারন লাগে। আর কিছু টাকা লাগে। আর টাকা গুলো আপনার একাউন্টে জমা থাকবে। তার মানে একাউন্ট ফ্রি।
নিচে ইসলামি ব্যাংকের বিভিন্ন একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত লিখলাম।
কারেন্ট একাউন্ট / carnet account
ইসলামী ব্যাংকে অনেক ধরনের একাউন্ট খোলা যায়। তার মধ্যে কারেন্ট একাউন্ট অন্যতম। কারেন্ট একাউন্টে প্রতিদিন টাকা জমা রাখতে পারবেন। এমনকি যত খুশি তত রাখতে পারবেন।
আবার তেমনি আপনি চাইলে আপনার কারেন্ট একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন। যখন খুশি তখন এবং যত খুশি তত টাকা।
সেভিংস একাউন্ট / Saving account
কারেন্ট একাউন্ট থেকে সেভিংস একাউন্ট একটু ভিন্ন। কারণ কারেন্ট একাউন্ট থেকে যখন খুশি টাকা জমা বা তুলা যায়। কিন্তু সেভিংস একাউন্ট থেকে যখন তখন টাকা তুলা বা জমা হয় না।
সেভিংস একাউন্ট মানে নির্দিষ্ট সময়, নির্ধারিত টাকা জমা দেওয়া। মানে আপনার টাকা টা সঞ্চয় হবে। আপনার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে, ঠিক ঐ সময় টাকা তুলতে পারবেন।
ডিমান্ড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট গুলো হল সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট।
ডিপিএস / বীমা
ইসলামী ব্যাংকে ডিপিএস অথবা বীমা করতে পারেন। বীমা সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশ জানি এবং অবগত আছি। ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে সবাইর ডিপিএস বা বীমা করা প্রয়োজন। অনেকে তার ছেলে মেয়ের নামে ডিপিএস বা বীমা করে থাকে।
বীমা মানে হলো। আপনি সাপ্তাহ এবং মাসিক এমনকি বার্ষিক সময়ে, কিছু পরিমান টাকা জমা রাখতে পারেন। এতে আপনার টাকা ও সঞ্চয় হলো। এমনকি আপনি অধিক হারে সুদ বিহীন মুনাফা ও পাবেন।
ডিপিএস ও সেম বীমার মতোই। ডিপিএস দীর্ঘ মেয়াদী বীমা ৩ বছর ৫ বছর, ১০ বছর পর্যন্ত ডিপিএস বীমার মেয়াদী করা যায়।
কারেন্ট একাউন্ট করলে আপনি বীমা এমনকি ডিপিএস করতে পারেন। আলাদা ভাবে একাউন্ট খোলার প্রয়োজন হবে না।
কারেন্ট একাউন্ট কি?
ইসলামী ব্যাংকে অনেক ধরনের একাউন্ট খোলা হয়। তার মধ্যে কারেন্ট একাউন্ট অন্যতম জনপ্রিয়। অনন্য একাউন্ট অনুযায়ী কারেন্ট একাউন্ট ভিন্ন। কারণ অনন্য একাউন্টে আপনি চাইলে, টাকা লেনদেন বা উত্তালন করতে পারবেন না। কিন্তু কারেন্ট একাউন্টে যে কোনো সময় লেনদেন করতে পারবেন।
কারেন্ট একাউন্ট খোলার সুবিধা
এই একাউন্টটি সাধারণত যারা চাকরি করে থাকে। এমন কি ব্যবসা বানিজ্য করে থাকে, তাদের জন্য। কারণ এই কারেন্ট একাউন্টে প্রতিদিন টাকা জমা দেওয়া, বা উঠানো যায়। কোনো রকম চার্য ছাড়াই লেনদেন করা যায়।
প্রতিদন আপনি যত খুশি ততবার টাকা জমা রাখতে পারবেন। তেমনি উঠাতে ও পারবেন। মুলত এই কারেন্ট একাউন্ট তাদের জন্য বেশি প্রয়োজন। যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে। এমনকি স্কুল কলেজ হাসপাতাল ইত্যাদি।
মনে রাখবেন কারেন্ট একাউন্ট সঞ্চয় এর জন্য খোলা যায় না। সঞ্চয় করতে হলে অনন্য একাউন্ট খুলতে হবে। আপনার দৈনন্দিন অনুযায়ী যত টাকা প্রয়োজন। ঠিক তত টাকা ব্যাংক আপনাকে দিতে বাধ্য হবে। যদি আপনার কারেন্ট একাউন্টে ঐ রকম টাকা থাকে। এছাড়া ও আরো অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানুন।
কারেন্ট একাউন্টের জন্য কি কি প্রয়োজন?
১. যে ব্যাক্তি একাউন্ট করবে তার পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি।
২. যে একাউন্ট করবে তার তার ( NID) জাতীয় পরিচয় পত্রের ও পাসপোর্ট এবং জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি ১টি।
৩. আপনার একাউন্টের যাকে নমুনি দিবেন। তার ( NID) জাতীয় পরিচয় পত্রের বা জন্মনিবন্ধনের ১ টি ফটোকপি। সাথে পাসপোর্ট এর ফটোকপি নিয়ে যাবেন। হয়তো লাগতে পারে।
যাকে নমুনি দেওয়া হবে তার পাসপোর্ট সাইজের ছবি ১ টি কপি। যদি পারেন একাউন্ট করার সময় নমুনি ব্যাক্তিকে নিয়ে যাবেন। না নিলে ও চলবে।
৪. প্রয়োজনীয় সব কাগজ পত্র দেওয়ার পর, আপনাকে একটা ফরম দেওয়া হবে। ঐ ফরম আপনাকে কয়েকটা স্বাক্ষর করতে হবে।
মনে রাখবেন যে স্বাক্ষর দিবেন। ঐ স্বাক্ষর অনুযায়ী চেক বই দিয়ে আপনি টাকা উঠাতে পারবেন। সুতারং স্বাক্ষর টা যে রকম দেওয়া হয়, তা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
৫. মোবাইল নাম্বার লাগবে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নামে একাউন্ট খুলতে হলে যা প্রয়োজন
১. কেউ যদি তার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের নামে একাউন্ট করতে চায়। সেই অনুযায়ী তার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, এর ফটোকপি ও সীলমোহর সহ প্রয়োজন হবে।
২. স্কুল প্রতিষ্ঠান বা দোকান হলে, ঐ দোকানের দলিল প্রয়োজন হবে।
ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন থাকতে হবে।
৩. কোনো সমিতির বা প্রতিষ্ঠানার জন্য, যৌথ ভাবে কয়েক জন মিলে একাউন্ট খুলতে পারবেন। তার জন্য ধরকার হবে পদ পদবি। মানে সভাপতি, সেক্রেটারি, ক্যাশিয়ার তাদের সবাইর ছবি এবং NID এর ফটোকপি লাগবে। সবাইর স্বাক্ষর লিপি প্রয়োজন হবে।
৪. প্রতিষ্ঠান লিমিটেড কোম্পানি হলে
মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন এর সত্যায়িত অনুলিপি। সার্টিফিকেট অব কমেন্সেমেন্ট অব বিজনেস এর অনুলিপি। যে ব্যক্তি একাউন্ট খুলবে কোম্পানি থেকে অনুমোদিত পাওয়া একটি অনুলিপি।
এজেন্ট কর্তৃক হিসাবে খোলা এবং পরিচালনার জন্য, এজেন্ট এর সাথে চুক্তি অনুলিপি প্রয়োজন হবে।
সতর্ক বার্তা
বুয়া কোনো কাগজ পত্র অথবা চালাকি করে কারো পরিচয় পত্র দিয়ে একাউন্ট খুলতে না। এমনটা করলে মনে করবেন, নিজের সমস্যা নিজেই খুজে নিচ্ছেন।
ঘসামাজা / কাটাকাটির ক্ষেত্রে আবেদনকারির পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে প্রত্যায়িত করতে হবে। কারণ সকল তথ্য অনলাইন টু অনলাইন হচ্ছে।
কারেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ইসলামী কারেন্ট একাউন্ট খোলা খুব সহজ। আমার আর্টিকেলে উপরে দেওয়া সকল আসবাব পত্র এবং তথ্য গুছিয়ে নিবেন। তারপর আপনার নিকটবর্তী ইসলামী ব্যাংকে বা তাদের যেকোনো শাখায় চলে যান।
বিভিন্ন স্থান অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট বা শাখা রয়েছে। আপনার সুবিধার জন্য যেখানেই করেন, একাউন্ট করতে পারবেন। আপনার সকল কাগজ পত্র ব্যাংকের কর্মকর্তার কাছে দিন। তারপর ব্যাংক কমর্কতা সকল কাগজ পত্র দেখার পর। আপনাকে একটি ফরম দেওয়া হবে।
ফরমটি ব্যাংক কর্মকর্তা পুরটাই পূরন করবে। শুধু আপনাকে ফরমের কয়েক জাগায় স্বাক্ষর করতে হবে। আপনি খুব সুন্দর করে স্বাক্ষর গুলো দিতে হবে। মনে রাখবেন স্বাক্ষর গুলো যেনো একই রকম হয়। এমনকি আপনার দেওয়া স্বাক্ষর মনে রাখতে হবে।
তারপর আপনার আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিবে। দুই হাতের ছয় আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিবে। আপনার একাউন্ট খোলা হয়ে গেছে। আপনার মোবাইলে এসএমএস চলে আসবে একাউন্ট খোলার।
স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার সুবিধা
অনন্য একাউন্ট এর তুলনায় স্টুডেন্ট একাউন্ট এ বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এই সুবিধা আপনি ভোগ করতে পারবেন। যদি আপনি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন। স্টুডেন্ট না হলে আপনি এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। আপনি চাইলে অন্য একাউন্ট খুলতে পারেন।
ইসলামী ব্যাংক অনন্য একাউন্টে ও অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যা স্টুডেন্ট একাউন্টের সুবিধার মতো নয়। নিচে স্টুডেন্ট একাউন্টের সুবিধা গুলো উল্লেখ করলাম।
স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা
১. সম্পূর্ণ ফ্রিতে বাংকিং করা।
২. সল্প জামানতে একাউন্ট একটিভ করা।
৩. ইন্টারনেট ব্যাংকিং
৪. ফ্রি ATM Card
৫. ATM এর বাৎসরিক চার্জ দিতে হয়না।
৬. দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ২৪ ঘন্টা ATM এর মাধ্যমে টাকা তোলার সুবিধা।
৭. দেশের যে কোন শাখায় টাকা ট্রান্সফারের সুবিধা।
৮. বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স এর গ্রহনের সুবিধা।
৯. ফ্রিলান্সিং এর টাকা তোলার সুবিধা।
১০. মোবাইল রিচার্জ বা টপআপের সুবিধা।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে।
শর্তসূমহ
১, হিসাবধারী প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে হিসাব অভিবাক দ্বারা পরিচালিত হবে।
২, পিতা মাতাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন?
১. শিক্ষা প্রতিষ্টানের আইডি কার্ড বা প্রতয়ন পত্র
২. একাডেমিক ট্রান্সজিপ্ট
৩. এআইডি বা জন্ম নিবন্ধন
৪. পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
৫. নমিনির আইডি কার্ড
৬. মোবাইল নাম্বার
স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
আমার আর্টিকেলে উপরে দেওয়া সকল কাগজ পত্র থাকলে। আপনার নিকটবর্তী ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকে, বা তাদের যেকোনো শাখায় চলে যান।
এবং আপনার সকল কাগজ পত্র ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে দিন।
আপনি কিছু জানতে চাইলে তাকে ও জিজ্ঞেস করতে পারেন। যদি আপনি একাউন্ট খুলতে সক্ষম। তাহলে ব্যাংক কর্মকর্তা আপনাকে মুদারাব সঞ্চয়ী হিসাব খোলার ফরম দিবেন।
আপনি সেই ফরম টি পূরণ করবেন। হিসাবধারী প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে হিসাব অভিবাক দ্বারা পরিচালিত হবে।
ফরমটি সুন্দর ভাবে পূরন করার পর। ব্যাংক কর্মকর্তা আপনাকে ফরমের কিছু স্থানে স্বাক্ষর দিতে বলবে। আপনি ফরমের সেই স্থানে স্বাক্ষর দিতে হবে। একাউন্ট খোলার একধাপ কাজ শেষ হলো।
আপনার একাউন্টটি ইন্টারন্যাশনাল করার করতে পারবেন। এমনকি আরো বেশি নিরাপদ রাখার জন্য,
আপনার আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিবে। দুই হাতের ছয় আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিবে। এর পর আপনার একাউন্ট খোলা হয়ে গেছে। আশা করি আপনার একাউন্ট নিরাপদ হয়ে গেলো। আপনি নিরাপদে টাকা জমা রাখতে পারেন।
সর্বশেষ কথা
আমার আর্টিকেলের তথ্য অনুযায়ী আপনি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। আরেকটি কথা মনে রাখবেন। একাউন্ট খোলার জন্য হয়তো নতুন আফডেট তথ্য আসতে পারে। কারণ যত দিন যাচ্ছে ততই প্রাযুক্তির ব্যবহারের বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিন্তার কারণ নেই নতুন আফডেট আসলে, এই আর্টিকেলে দেওয়া হবে।
অনেক কিছু জানতে পারলাম
comment korar jonno thanks
carent account kholte bank a koto taka joma dite hobe???
অনেক অনেক ধন্যবাদ
আমি কি বাংলাদেশ থেকে যে কোনো দেশে টাকা টান্সপার করতে পারব?