করোনায় মধ্যবিত্ত এক ছেলের জীবন কাহিনী
সারাবিশ্বে করোনা মহামারী ভাইরাসে আক্রান্ত। এবং মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিন ঝরে পড়ছে। সারাবিশ্বের সব জায়গায় মৃত্যুর ভয়ে কেমন জানি হাহাকার করছে। করোনায় অনেকে কাজ করতে পারে না। অনেকে কাজ হারিয়ে বাড়ীতে বসে আছে। সারাবিশ্বে এই মহামারীতে খাদ্যের অভাবে কোটি কোটি মানুষ আতংকিত হয়ে আছে। ধনী মানুষরা তাদের জমানো টাকা দিয়ে চলছে। গরীব অসহায় মানুষদেরকে সরকার ত্রান দিতেছে। আর মধ্য বিত্তরা হাহাকার করছে, করোনায় মধ্যবিত্ত এক ছেলের জীবন কাহিনী কাউকে বলতে পারছে না লজ্জায়। কষ্টের কথা কাউকে বলতে ও পারছে না। করোনায় মধ্যবিত্ত এক ছেলের জীবন কাহিনী পড়তে খুব কষ্ট লাগে।
নিছে একটি মধ্যবিত্ত ছেলের জীবন কাহিনী দেওয়া হলো,
আমি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। দেখতে দেখতে বয়স টা ১৯-২০ বছর হয়ে যাচ্ছে!
এই ছোট্ট জীবনে পড়া-লেখার পাশাপাশি কখনো কোনো কাজ তো দূরের কথা,পরিবারে কাজে ও আমাকে আমার পরিবার যুক্ত করেনি।
এক কথা আমি অলস অকর্মের ঢেকি।
আবার আমার পরিবার ও চায় না আমি পড়ালেখার পাশাপাশি কোনো কাজ করি।
কিন্তু আমার স্কুল-কলেজ লাইফের সব বন্ধু-বান্ধব ইভেন ছোট ভাইরা ও ঈদের মৌসুমে। বিভিন্ন দোকানে থাকে নিজের পার্সোনাল খরছের জন্য।
এখানে লজ্জার কিছু দেখতেছিনা আমি।
পড়া-লেখার পাশাপাশি নিজেকে কর্মে জড়িয়ে রাখা একটি ভালো গুন।
কিন্তু এই বছর করোনাভাইরাস মহামারির প্রকটে পড়ে মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো হিমসিম খাচ্ছে।
তাও আলহামদুলিল্লাহ আমাদের পরিবার এখনো ঠিক আছে!
নিজের ভিতরে কেমন যানি দ্বিদাবোধ হচ্ছে বয়স তো কম হলো না-
আর কত এভাবে থাকবো?
কলেজ তো অফ! জীবন
কোনো একটা দোকানে ডুকলে হয়তো টাকা না হোক নিজের ভিতর থাকা অলসতা হয়তো পরিহার করা সম্ভব হবে।
তাই একটা দোকান ঠিক করে আজ সকাল ৭টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে দোকানে গেলাম।
যা আমার জীবনের প্রথম কোনো একটা চাকরি করার অনুভুতি!
বাবা প্রবাসে ছিলেন দীর্ঘ কয়েক বছর এখন দেশে চলে আসছে,
কারন পরিবারের হাল বড় ভাইরা দরছে।
আজ সকাল ৭টায় যখন ঘুম থেকে উঠলাম। বাসার পাশের সকল প্রতিবেশি আর বাবা- মা এবং পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা আমার দিকে অভাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল।জীবন হিনহিনীহিনহিহ
কারন যে ছেলেটি ঘুম থেকে উঠতো দুপুর ১২-১টা বাজে,
আজ সেই অলস ছেলেটি নিজ ইচ্ছেতে সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে অন্যের কামলা দিতে যাচ্ছে।
দুপুরে যখন নামাজ পড়ে ভাত খাওয়ার জন্য বাসায় আসলাম।
তখন মা বলে- তোর আব্বু সকাল থেকে কান্না করে,
আর বলে আমার ছেলেটা বুঝি আজ অন্যজনের কাজ করবে ?
আমার ছেলেটা কষ্ট করতে পারবে?
অথচ এই বাবাই মাঝে মাঝে রেগে গেলে আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অলস ব্যাক্তি হিসেবে উপাধি দিতেন।
জীবন কাহিনী, আজ আমি যখন বাবার সামনে যাই, বাবা তাকিয়ে আছে আমার দিকে,
কিছু বলতে পারে না আমাকে–।
কিন্তু তার অলস ছেলেটি ঠিক ই বাবার ভিতরে থাকা আত্নচিৎকার কান্না শুনতে পায়।
বাবারা এমনি হয় ভাই!
আপনাকে আমাকে কখনো বুঝতে দিবে না তাদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা সন্তানদের প্রতি পাহাড় সমান আবেগ, মায়া, ভালোবাসা।
সবার কাছে অনুরোধ
কখনো কোনো বাবা যেনো কষ্ট না পায় ভাই।
ছোট মানুষ আমি!
নিজের জীবনের অংশ থেকে নেওয়া অনূভুতি প্রকাশ করছি।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!
আর দয়া করে ভুল হলে দরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ্ শুদরে নিবো।
লেখায়: Tasfhi
এই রকম জীবন কাহিনী পড়তে আমাদের সাইটে ভিজিট করুন বাংলা ব্লগার ডট ইনফো
অসাধারণ লেখা। এটাই আসলে বাস্তবতা।