ঘরে বসে জন্মদিনের কেক বানানোর নিয়ম
বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বের লোকজন জন্মদিন পালন করে থাকে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে জন্মদিন পালন করে। এক এক দেশে একএক রকম জিনিস দিয়ে জন্মদিন পালন করে। আমাদের দেশে জন্মদিন পালন করে থাকে কেক দিয়ে। কেক ছাড়া জন্মদিন পালন করা অসম্ভব। তাই ঘরে বসে জন্মদিনের কেক বানানোর নিয়ম জেনে নিন।
আমরা তো জন্মদিনের কেক প্রায়ই দোকান কিনে আনি। এমনকি নিজের মন মতো করতে চাইলে অগ্রীম অর্ডার দিয়ে আনি। তার জন্য বেশি টাকা ও লাগে। তারপর জন্মদিনের উৎসব পালন করে থাকি। অনেক আনন্দ মজা মাস্তি করে উৎসব করে থাকি।
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
ঘরে বসে জন্মদিনের কেক বানানোর রেসিপি
প্রায় প্রত্যেক বছর তো বাহির থেকে জন্মদিনের কেক নিয়ে আসেন। এই বছর না হয় ভিন্ন ভাবে কেকের আয়োজন করুন। যদি কেকটি ঘরে বসে তৈরী করেন, কেমন লাগবে আপনার। আশা করি ভালো লাগবে।
কারণ আপনি ঘরে বসেই সেম দোকানের মত কেক তৈরী করতে পারবেন। অবাক হচ্ছেন তাই তো। অবাক হবার কিছুই নেই। আপনি খুব সহজে ঘরে বসে জন্মদিনের কেক তৈরী করতে পারবেন।
দোকান বা বাজারের তৈরী কেক দিয়ে আপনি জন্মদিন পালন করলে, অনেকে কেক খাইতে পারে না। শেষ হয়ে যায়। এতে আপনার অনেক বন্ধুর মনে কষ্ট ও আসতে পারে। কিন্তু আপনি ঘরে বসে বাজারের মতো কেক তৈরী করতে পারবেন।
ঘরে বসে জন্মদিনের কেক বানানোর নিয়ম
আপনি চাইলে নিজের মতো করে বড় করে কেক বানাতে পারবেন। আপনার বন্ধু বেশি হলে আপনি ২ টা কেক বা একাধিক কেক তৈরী করতে পারেন। এতে আপনার টাকা ও বাচলো এবং বন্ধু বান্ধবীদের মন মতো খাওয়াতে পারবেন।
তাহলে চলুন, আজ আমি আপনাদের দুই ধরনের কেক বানানোর রেসিপি বা নিয়ম দেখাবো। তাহলে শুরু করা যাক।
ঘরে বসে জন্মদিনের কেক বানানোর নিয়ম
জন্মদিনের কেক বানানোর উপকরণ। আপনি চাইলেই এই সব উপকরণ দিয়ে, যে কোনো কেক তৈরী করতে পারবেন। কেক তৈরী করার জন্য এই সব উপকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১. ১ কাপ ময়দা।
২. ৩ টি ডিম।
৩. ২ চা চামচ ভ্যানিলা পাউডার।
৪. ১ চা চামচ বেকিং পাউডার।
৫. (৫-৬) চা চামচ চিনি গুঁড়ো।
৬. কাপ হুইপড ক্রিম।
৭. সাদা কেক স্প্রিংকেল।
৮. ১ বা ২ চা চামচ কোকো পাউডার।
৯. ২-৩ চামচ চেরি সিরাপ।
১০. পরিমাণমতো চকলেট সিরাপ।
১১. প্রয়োজন মতো চকলেটের গুঁড়ো।
১২. পঞ্চাশ গ্রাম মতো মাখন।
জন্মদিনের কেক বানানোর নিয়ম
প্রথমে একটা বাটিতে তিনটি ডিম বেঙ্গে নিন। তারপর কাটা চামচের সাহায্য ডিম গুলো পেটে নিন। তারপর ঐ ডিমে চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। তারপর ঐডিম চিনিতে তৈল দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন।
তারপর ময়দা দিয়ে নাড়ুন।
তারপর মিল্ক পাউডার দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। যখন একটু সুকনা লাগবে, এক কাপ লিকুইড দুধ দিয়ে সব মিশাতে থাকুন। তারপর থেকে ব্রেকিং পাউডার ভ্যানিলা ভালোভাবে মিক্সচার করুন। এটাই হলো ঘরে বসে কেক বানানোর রেসিপির সহজ উপায়
একটা সচপ্যানে চার পাশে তৈল লাগিয়ে সমান ভাবে কাগজ লাগিয়ে দিন। তারপর মিক্সচার গুলো ডেলে দিন। ঢাকনা দিয়ে ডেকে দিন। একটা চুলায় তাপা বসিয়ে,তার উপর সছপ্যানটি বসিয়ে লো আচে ৩০ মিনিট রান্না করুন।
৩০ থেকে ৪০ মিনিট রান্না শেষে। একটু খানি ডাকনা উঠিয়ে, একটা কাঠির সাহায্য দেখতে হবে। কেক টা হয়েছে কিনা। যদি হয় তা হলে কাঠির গায়ে কনো আঠা আঠা লাগবেনা। আর যদি না হয় তাহলে কাঠিটির গায়ে একটু বিজা বিজা আঠালো লাগবে।
জন্মদিনের কেক বানানোর পদ্ধতি
তা হলে আরো ১৫থকে ২০ মিনিট চুলায় রাখতে হবে। তারপর নামিয়ে ঠান্ডা করে।
কেকেটি মাঝ বরাবর গোল করে কেটে দুইভাগ করে নেবেন। তারপর দুই ভাগেই চেরি সিরাপ দিয়ে দেবেন। কেকে চেরি সিরাপটি ভিজে গেলে, ১-২ মিনিট পর কেকের একটি ভাগে মাঝখানে। এমনকি চারিদিকে ফেটিয়ে রাখা ক্রিমটি ভালো করে লাগিয়ে নেবেন।
কেকের আরেকটি ভাগ, বা অংশ ক্রিম লাগানোর কেকের ভাগটির উপর বসান আলাদা ভাবে। এবার কেকটির উপরে ক্রিম দিয়ে ঢেকে দিন। এবং চারপাশে চেরি বসিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে নেবেন। তারপর আলাদা আলাদা ভাবে চকলেটের গুঁড়ো লাগিয়ে নিন।
কেকের উপর চকলেট সিরাপ দিয়ে, উপরে সাদা কেক স্প্রিংকেল ক্রিম দেন। সুন্দর করে সাজিয়ে নিন। নিজের পছন্দ অনুযায়ী যেমন খুশি তেমনি করে সাজাতে পারবেন। জন্মদিনের কেক বানানো হয়ে গেলো।
আরো পড়ুনঃ
জন্মদিনের শুভেচ্ছা এসএমএস
শুভ জন্মদিন এসএমএস
কষ্টের এসএমএস
ঘরে বসে কেক বানানোর রেসিপি
লেয়ার ক্রীম বানানোর পদ্ধতি
জন্মদিনের কেক / Birthday cake
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের কেক রয়েছে। কেক অনেক মজার খাবার। দেশের প্রায় অধিকাংশ লোক কেক পছন্দ করে থাকে। সকালের নাস্তা এবং সন্ধ্যা বেলার নাস্তা কেক ছাড়া তো হয় না অনেকের।
তেমনি ছোট বাচ্চাদের জন্য ও কেক মজার খাবার। দেশের প্রায় ৯০% ছোট বাচ্চাদের কেক মজার খাবার। তাই অনেকে কাজ শেষে বাড়ী ফিরার পথে, বাজার থেকে কেক নিয়ে যায়।
তেমনি জন্মদিনের কেক হলো একটি এতিহ্য খাবার। মিষ্টি জিনিস ছাড়া কোনও উদযাপন সম্পূর্ণ হয় না। আর জন্মদিনে পায়েস আর কেক দুটি ছাড়া জন্মদিন অসম্পূর্ণ।
জন্মদিনের কেক বিভিন্ন ধরনের হয়। বাজারে বানানো কেকে পরমালিন বা দূষণ থাকতে পারে। তাই আপনি ঘরে বসে জন্মদিনের কেক তৈরী করুন। বন্ধু বান্ধবীদের নিয়ে মজা করে খেতে পারেন।
জন্মদিনের কেক চকলেট বানানোর নিয়ম
বাংলাদেশ সহ অনেক দেশের লোকজন কেক চকলেট ও পছন্দ করে। অনেক শিশুরা কেক চকলেট খুব মজা করে খায়। অনেকের জন্মদিনে অথবা বিশেষ অনুষ্ঠানে, কেক চকলেট দিয়ে আয়োজন করে।
অনন্যন কেক এর মতোই কেক চকলেট। কিন্তু কেক চকলেটে আলাদা একরকম মজা পাওয়া যায়। তাই অনেক শিশুরা কেক চকলেট অনেক পছন্দ করে থাকে। তাহলে শুরু করা যাক।
কেক চকলেট বানানোর উপকরেণ
cake choklet বানানোর জন্য কিছু উপকরণ প্রয়োজন হবে। নিম্নে উপকরণ গুলো স্টাপ বায় স্টাপ পেশ করলাম।
১. ২ কাপ ময়দা
২. ৩ টি ডিম
৩. ৩ কাপ মাখন
৪. ২ কাপ চিনি।
৫. ৩ চামচ বেকিং পাউডার
৬. ১ চামচ বেকিং সোডা
৭. কাপ কোকো পাউডার
৮. ২ টেবিল চামচ ভ্যানিলা।
৯. ১.৫ (দেড়) কাপ দুধ
কেক চকলেট বানানোর নিয়ম
আপনি প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্র নিন। তারপর ঐ পাত্রে ডিম ফেটিয়ে তার মধ্যে চিনি মিশিয়ে নিন। তারপর ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নিন। তারপর হাত দিয়ে নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে বাটার করুন।
এবার অন্য একটি পাত্রে ময়দা, বেকিং পাউডার বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তারপর কোকো পাউডার মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে নাড়ুন। এবার এই মিশ্রণটির মধ্যে তৈরি করা ব্যাটার, অল্প পরিমাণ করে বারবার দিয়ে মিশিয়ে নিন।
কেক চকলেট বানানোর পদ্ধতি
তারপর অর্ধেক মাখন গলিয়ে ওই মিশ্রণের মধ্যে মিশিয়ে নিন। এবার ময়দার ব্যাটারের মধ্যে দুধ মিশিয়ে নিন। এবার প্রেসার কুকারটি ৫ মিনিট গরম করে নিন। এবার একটি কেকের পাত্রে চারিপাশে মাখন লাগিয়ে নিন।
কেকের মিশ্রণটি বসিয়ে কুকারের মাঝখানে বসিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে দিন। তারপর (৩০-৪৫) মিনিট রাখুন। অপেক্ষা করে নামিয়ে নিন। এরপর আপনার জন্মদিনের চকলেট কেক তৈরী হয়ে গেলো।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক গন, আমার আর্টিকেল অনুযায়ী যদি আপনি কন্টিনিউ করেন। ইনশাআল্লাহ আপনি খুব সুন্দর জন্মদিন কেক তৈরী করতে পারবেন। যদি আমার আর্টিকেল আপনাদের ভালো লাগে। কমমেন্ড করে জানাবেন।
লেখকঃ কাউছারা আক্তার