মেছতা দূর করার উপায় | ঘরোয়া পদ্ধতি
বন্ধুরা সবাইকে স্বাগতম জানাই। বরাবরের মতোই আজ আমি নতুন একটি টিপস নিয়ে হাজির হইলাম। প্রিয় পাঠক গন আমার আর্টিকেলটি তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমার আর্টিকেলটি পুরো পড়তে থাকুন। আজ আমি আপনাদেরকে শিখাবো মেছতা দূর করার উপায়
আমাদের আশে পাশে অনেক ছেলে মেয়েদের মেছতা হয়ে থাকে। অনেকে এই মেছতা নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকে। কেউ বলছে এটি কোন রোগের কারণে হচ্ছে। যে যাই বলুক, দিন শেষে আয়নায় নিজের মুখটি দেখে তো মন আপনারই খারাপ হয়।
আপনার আশে পাশে এই মেছতার সমস্যায় ভুগছে এমন অনেক পুরুষ মহিলা রয়েছে।
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
মেছতা দূর করার উপায়
সবারই একটি অভিযোগ অনেক কিছু করেছি কিন্তু কিছুই হয়নি। চিন্তার কেনো কারণ নেই। আজ আমি এমন একটি টিপস দিবো। আপনি সেই অনুযায়ী কন্টিনিউ করলে, ইনশাআল্লাহ ১ সাপ্তাহর মধ্যে আপনার মেছতা দুর হবে।
আজকের এই লেখা হচ্ছে মহিলা এবং পুরুষের জন্য। পুরাতন মেছতা চিরোকালের মতো দূর করার উপায়। যারা দীর্ঘ দিন মেছতা নিয়ে ভুগছেন এবং কোনো কারণে ভালে হচ্ছে না। চিন্তার কোনো কারন নেই।
মেছতা দূর করার উপায়
তারা আমার এই পোস্টটি ভালে করে প্লো করবেন। আমার আর্টিকেল অনুযায়ী যদি আপনি মেনে চলেন।ইনশাআল্লাহ আল্লাহর রহমতে আপনার মেছতা দুর হয়ে যাবে। এমনকি চিরো তরের জন্য আপনার মেছতা চলে যাবে।
আমার এই টিপস ১০০% কার্যকরি। আমার ডিসপ্লেতে যে গাছটি আপনারা দেখতেছেন। এই গাছটি আগে ভালো করে প্লো করুন।
আশা করি এই গাছটি অনেকে চিনতে পারছেন। আর যারা চিন্তে পারেন নাই, তারা নিছে পড়তে থাকেন। এই গাছের নাম এবং চিনার উপায় জানতে পারবেন।
মেছতা দূর করার উপায় এবং মেছতা কি
এই মেছতার সমস্যায় হাজার হাজার মানুষ ভুগছেন। মেছতা চিনেনা, এমন কেউ নেই। মেছতা প্রায় সকলে চিনে থাকে। মেছতা হলো ছোট ছোট বাদামি রঙের ছোপ ছোপ দাগ। যা শরীরের বিভিন্ন অংশে হয়ে থাকে। অনেকের মুখে হয়ে থাকে। এই মেছতার দাগ সহজে দুর হয় না। মেছতার কালো দাগ দূর করার নিয়ম নিচে দেওয়া আছে।
আরো পড়ুনঃ
রাতে দেরি করে ঘুমালে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়
শিং মাছের কাটা হাতে ফোটলে করণীয় কি
মেয়েদের ত্বক ও মুখ ফর্সা করার উপায়
মেছতা কেনো হয়?
সূর্যের আলোতে শরীরে মেলানিন বাড়িয়ে দেয়। তাই বেশিক্ষণ রোদে থাকলে, শরীরের কিছু কিছু অংশের ত্বকে মেলানিন বেড়ে যায়। যার ফলে সেসব জায়গার রঙ গাঢ় হয়ে যায়। যা দেখতে বাদামি ছোপ ছোপ দাগের মতো মনে হয়। যাদের গায়ের রঙ ফর্সা। এমনকি চুল একটু লালচে, তাদের জেনেটিক্যালি মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মেছতা শরীরের কোথায় হয়ে থাকে।
মেছতা শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যেতে পারে। কিন্তু সাধারণত গালে মেছতা খুব বেশি দেখা যায়। এছাড়াও নাকের উপরে গলায়, ঘাড়ে ইত্যাদি অংশেও মেছতা দেখা যেতে পারে। এমনকি পায়ের আঙুলে ও হয়ে থাকে।
অনেকে মেছতা ভালো করার জন্য হাজার হাজার লোক খরচ করছেন। কিন্তু পুরোপুরি ভালো হয় নাই। কিন্তু আপনি ঘরোয়া কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে, আপনার মেছতার দাগ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে পারেন। মুখের এই মেছতার দাগ যা দেখলেই আপনার মন ভেঙ্গে যায়। তা দুর করার কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
মেছতার দূর করার প্রতিকার
১. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল না খাওয়া ভালো।
২. রোদে বের হবার পূর্বে অবশ্যই সানক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
৩. ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
৪. বেশি বেশি পানি পান করতে হবে
৫. বেশি পরিমানে চিনি বা ঝাল না খাওয়াই ভালো।
মেছতা চিরোতরের জন্য মুছে পেলার উপায়
এই গাছটির নাম হলো জুম লতা, বিভিন্ন জাগায় এই গাছটির নাম ভিন্ন রকম নামে চিনে। তো আজকে আমি বলবো এই গাছ দিয়ে কিভাবে আপনার পুরাতন মেছতা দুর করবেন।প্রথমে আপনি এই জুমলতা গাছের পাতা সংগ্রহ করবেন।
আধা গ্লাস রস যেনো হয়, ঐ অনুযায়ী পাতা নিবেন। তারপর পাতা গুলো ভালো ভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। পরিষ্কার করার পর, পাতা গুলো থেকে পানি ঝরিয়ে নিবেন।তারপর ব্লেন্ডার করে পাতা গুলো থেকে রস বের করতে হবে হাফ গ্লাস।
এই হাফ গ্লাস রসের সাথে পরিমান মতো মধু মিক্সচার করতে হবে।
তারপর আপনি এই মধু মাখা রস গুলো ৭ দিন ব্যবহার করবেন। প্রত্যাক দিন ব্যবহারের পর নর্মাল রেফ্রিজারেটর রাখতে পারেন। এমনকনি শুষ্ক ঠান্ডা স্থানে রাখুন। খেয়াল করে শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখবেন।
মেচতা দূর করার ঔষধ ব্যবহারের নিয়ম
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করবেন। আপনার শরীরের যে স্থানে মেছতা আছে, এই রস গুলো লাগিয়ে হাত দিয়ে মেসেজ করবেন।মেসেজ করার পর, দেড় ঘন্টা
রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে পেলুন।
এই ভাবে এক দিন একদিন করে এক সাপ্তাহ ব্যবহার করেন। আপনি নিজেই তার পল দেখতে পাবেন। ইনশাআল্লাহ আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
পুরুষের মেছতা দূর করার উপায়
ছেলেদের মেছতা দূর করার উপায় খুব সহজ। আমাদের দেশে অনেক ছেলেরা আছে, তারা মেছতার দাগ নিয়ে ভুগছেন। তারা হাজার হাজার টাকা খরচ করছেন মেছতা দূর করার জন্য। কিন্তু হচ্ছে না বরং তারা চিন্তায় আরো অস্থির হয়ে পড়ছেন।
ছিন্তার কোনো কারন নেই। আমার আর্টিকেল অনুযায়ী, কন্টিনিউ কাজ করলে যে কারো মেছতার দাগ দূর হয়ে যাবে। মাত্র ৭ দিন আপনি ব্যবহার করলেই, তার ফল পেয়ে যাবেন।
এ জুমলতা খুবই কার্যকরি একটা উপাদান। আশা করি আমার এই টিপস ব্যবহার করে, আপনারা অবশ্যই উপকার পাবেন। তো বন্ধুরা আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে। তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
শেষ কথা
জুমলতার এই ঔষধ ৭ দিন ব্যবহার করার পর। যদি উপকার হয় কমমেন্ড করে জানাবেন। আজ আর নয় আল্লাহ হাফেজ
লেখকঃ কাউছারা আক্তার