মেয়েদের ত্বক ফর্সা এবং মুখ সুন্দর করার উপায়
আমাদের দেশের মেয়েদের সৌন্দর্যের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কে কার থেকে সুন্দর হবে তা নিয়ে প্রতিদিন প্রতিযোগিতা চলছে। দেশের প্রায় সব জাগায় মেয়েরা রুপ চর্চা নিয়ে গবেষণা করতে থাকে। মুখে কি ক্রিম দিলে সুন্দর হবে। প্রাকৃতিক ভাবে কি ব্যবহার করলে সুন্দর হয়ে যাবে। তা খুজতে থাকে। তাই মেয়েদের ত্বক ফর্সা এবং মুখ সুন্দর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
আবার অনেক সময় দেখা যায়, মেয়েরা কিছু ক্রিম ব্যবহার করে সুন্দর হয়ে যায়। আবার অনেক মেয়ে অনেক ক্রিম ব্যবহার করে ও সুন্দর হয় না। তাই একে অপরকে অনুকরণ করতে থাকে, কিভাবে সুন্দর নারী হতে পারে।
কিছু কিছু মেয়ে আছে গায়ের রং দেখতে কালো, কিন্তু তাদের মুখের রং এমনকি চেহারা অনেক সুন্দর। এতে অনেক মানুষ অভাক হয়ে যায়। আর সেই মেয়েকে সবাই জিজ্ঞেস করে তুমি কি ব্যবহার করে সুন্দর হয়েছো।
আজ আমি এই আর্টিকেল টি লিখলাম মেয়েদের উদ্দেশ্য। মেয়েরা অল্প দিনে কিভাবে অধিক সুন্দর্যের অধিকার হতে পারে। মেয়েরা কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে অল্প দিনে সুন্দরী হয়ে যাবে।
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
মেয়েদের ত্বক ফর্সা করার উপায়
রোদে পোড়া আর দূষণ থেকে সুরক্ষায়।
লোকে বলে, রোদে বাইরে যেওনা, কালো হয়ে যাবে। হ্যাঁ এটা ঘটে ত্বকের মেলানিনের কারনে।
রোদে গেলে সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর দিক থেকে ত্বককে রক্ষার জন্য, ত্বকে ব্যাপক মেলানিন উত্পন্ন হয়। আর এই ব্যাপক মেলানিনের উপস্থিতি ত্বককে করে তোলে কালো, কারন মেলানিনের রঙ কালো তাই।
এবার আসুন জেনে নেই কিছু বিউটি টিপস।
আপনি যদি সত্যি সত্যি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়াতে চান। কিংবা হারানো সৌন্দর্য্য ফিরে পেতে চান। তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই। এমনকি আপনাকে ঘন ঘন বিউটি পার্লারেও যেতে হবে না। শুধুমাত্র ঘরে বসে কিছু টিপস আর নিয়ম মেনে চললেই, আপনি পেতে পারেন সুন্দর লাবন্যময় ত্বক। যা আপনি চান। তাহলে পড়তে থাকুন মেয়েদের ত্বক ফর্সা এবং মুখ সুন্দর করার উপায়।
মেয়েদের ত্বক ও মুখ ফর্সা করার সহজ উপায়
হাজার হাজার মেয়েরা সুন্দর হওয়ার জন্য শত শত টাকা খরচ করতেছে। কিন্ত সুন্দর হয় না। আমার এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য। শুধু যে ক্রিম ব্যবহার করলে মুখের সৌন্দর্য আসবে তাই নয়। কিছু কৌশল অবলম্বন করলে যে কোনো মেয়ে অল্প দিনে খুবই সুন্দর হয়ে যাবে।
ক্রিমের পরিবর্তে গাজর, মাস্কের বদলে আম। অর্থাৎ সুন্দর হতে চাওয়া মানে এই নয় যে, সবসময় দামি কসমেটিক ব্যবহার করতে হবে। বরং তার বদলে ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়াই শ্রেয়।
বিজ্ঞানীদের মতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে। যারা কম ফল-সবজি খায়। তাদের তুলনায় যারা বেশি সবজি এবং ফল খায়। তাদের মুখে কম বলিরেখা পড়েছে। কাজেই ত্বকের ওপরে ক্রিম বা মাস্ক মাখার চেয়ে, গাজর বা আমের মতো ফল খেলেই উপকার বেশি পাওয়া যায়।
রাতের ঘুম মেয়েদের সৌন্দর্য করে তুলে
আমাদের দেশের প্রায় সব মানুষ রাতে ঘুমায়। আবার কিছু মানুষ রাতে কাজ করে দিনে ঘুমায়। বিজ্ঞানীদের মতে এক রাতের ঘুম ৭ দিনের ঘুমের সমান। আসলে কথাটা অনেকটাই সত্যি। আমরা রাতে ৫-৭ ঘন্টা ঘুমাইলে আমাদের ঘুম ফুরিয়া যায়।
আবার রাত জেগে দিনে সারাদিন ১২ ঘন্টা ঘুমাইলে ঘুম পুরে না।
ঘুম ভালো না হলে তার প্রভাব যে চোখে-মুখে পড়ে, সেকথা আমরা জানি। ঘুম শরীরের হরমনে প্রভাব ফেলে, শরীরের ফ্যাট ক্ষয় করে।
রাতে ঘুম ভালো হলে, শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে মন-মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। রাতে যে নারী ভালো ঘুমায়, সকালে তাকে দেখতে সুন্দর এবং তরতাজা লাগে। শুধু তাই নয়, সারাদিনই সে ফিট থাকে।
তাকে দেখতে অনেক সুন্দর নারী মনে হয়। সবাই তার মুখের দিকে বার বার তাকাবে। আর সবাই মনে মনে চিন্তা করবে এই মেয়েটা দিন দিন সুন্দর হয়ে যাচ্ছে কি বাবে। এটা জানার জন্য পড়ুুন মেয়েদের ত্বক ফর্সা এবং মুখ সুন্দর করার উপায়।
বিউটি স্লিপ
ছেলে মেয়ে সবাইর জন্য রাতের ঘুম খুবই উপকারী। কিন্তু মেয়েদের জন্য রাতের ঘুম ছেলেদের থেকে বেশি উপকারে লাগে। কারোলিনস্কা ইন্সটিটিউট সুইডেনের মেয়েদের মধ্যে ঘুমের প্রভাব নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। সুন্দর্যের বৃদ্ধি পরীক্ষার করার জন্য।
সেসময় কয়েকজন যুবতী মেয়েকে ৮ ঘণ্টা এবং অন্যকয়েক জনকে মাত্র ৪ ঘণ্টা ঘুমাতে দেয়া হয়। তারপর সকাল বেলায় এক এক করে সবাইর তোলা হয় ছবি। ছবি গুলোতে কারো ছবি সুন্দর হয়েছে, আবার কারো চবি অসুন্দর হয়েছে।
বিচারকদের মতে, ৪ ঘণ্টা নয়, পুরো ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরের তোলা ছবিতে মেয়েদের দেখতে অনেক সুন্দর। এবং সজীব এবং ফিট লেগেছে। অর্থাৎ ‘বিউটি স্লিপ’ যে শুধু কথার কথা নয়, তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
ডায়বেটিস টাইপ টু
রাতে ঘুম না হলে শরীর এবং চেহারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যা সবাই বুজতে পারে না।
যে নারীর প্রায় প্রতি রাতে ৮ ঘণ্টার কম ঘুম হয়, তার ‘ডায়বেটিস টাইপ টু’ হওয়ার ঝুঁকি আছে ।
এই তথ্যটি দিয়েছেন, ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে। গভীর ঘুমের সময় শরীরের রক্তনালী প্রশস্ত হয়। আর তখন ভালোভাবে পুষ্টি চলাচল করতে পারে৷ ফলে ত্বক হয় মসৃণ আর সজীব। আর মুখমণ্ডল দেখতে খুবই সুন্দরী দেখা যায়।
ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য কি প্রয়োজন
আপনি প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ত্বক হবে টানটান উত্তেজনা। চুল ও নখ হয় সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। যা যে কেউ দেখলে চোখ সরাতে পারবে না।
আপনার বয়সকে জয় করতে নিয়মিত রঙিন সবজি খেতে পারেন। অর্থাৎ গাজর, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, ব্রকলি ইত্যাদি খেতে হবে। সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন মাছ এবং সবুজ শাক-পাতা বা স্যালাডও।
মনে রাখবেন কিছু কারনে আপনার সুন্দর চেহারা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যেমন – ধূমপান, মদ্যপান এবং অতিরিক্ত সূর্যের আলো থেকে নিজেকে দূরে রাখা প্রয়োজন।
আপনার প্রয়োজন প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করা। প্রচুর ভিটামিন সি খাওয়া। যেমন লেবু বা কমলা জাতীয় ফল। এবং পুষ্টি কর খাওয়া প্রয়োজন।
মেয়েরা ব্যায়ামের মাধ্যমে সুন্দর হতে পারে
আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন, যে কোনো ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। খেলাধুলা ও করতে পারেন। খেলাধুলায় অনেক ব্যায়াম হয়ে থাকে। ব্যায়াম শরীরকে ঝরঝরে ও সজীব রাখে। এমনকি স্ট্রেস ভুলিয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করে।
আপনি প্রতিদিন কিছু না কিচু কাজ করে চলছেন। কিন্ত একটি বার নিজের শরীর এর কথা ভাবছেন। আপনি দৈনন্দিন কাজের চাপের পর যে করেই হোক, কিছুটা সময় নিজের জন্য ব্যয় করা খুবই দরকার।
তাছাড়া ঘরের নানা কাজও এক ধরণের ব্যায়াম। আর এই ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের বাড়িও পরিষ্কার থাকবে। শরীর ও মন দুটোই থাকবে সুন্দর।
আরো পড়ুনঃ রাতে দেরি করে ঘুমালে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়
শিং মাছের কাটা হাতে ফুটলে করণীয়
বিউটি স্ন্যাকস
আপনি মুখ মন্ডল সুন্দরের সাথে তক ও সুন্দর করতে পারনেন। শুধু বিউটি স্লিপ নয়, চাই বিউটি স্ন্যাকসও। রাতের খাবার ব্রেক-এ সাদা দই-এর সাথে বিভিন্ন ফল মিশিয়ে খেলে, পাওয়া যায় দিনের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম।
আরো পাওয়া যায় ভিটামিন সি,ই ইত্যাদি৷ যা আপনাকে অসংখ্য নারীর মাঝে করে তুলবে উজ্জ্বল আর আকর্ষণীয়। তখন যে কোনো ছেলে আপনাকে দেখলে অবাক দৃষ্টি চোখে তাকেবে। আর হয়তো আপনার প্রেমে পড়ে যাবে।
মেয়েদের হাসি বয়স কমায়
রাতের যে মেয়ের ঘুম ভালো না হয়। সকালে তাকে কেউ জাগালে তার মেজাজ গরম থাকে। সবাইর সাথে তেরা কথা বলে থাকে। আর যাদের যথেষ্ট ঘুম হয়। তাদের স্বাভাবিক ভাবেই মন-মেজাজ ভালো থাকে।
তারা স্বাভাবিক ভাবেই বেশি হাসে এবং তাদের চেহারা দেখেও সহানুভূতিশীল মনে হয়। তাদের দেখতে অনেক মায়াবি চেহারা মনে হয়। যারা কম হাসে বা মুখ বিষণ্ণ করে রাখে তাদের চেয়ে হাসিখুশি মানুষকে যে দেখতে অনেক সুন্দর। এমন কি হাসিখুশি মেয়েদের দেখলে তাদের বয়সও কম বলে মনে হয়। সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না!
হাসি খুশি মেয়েদের সুন্দর ফিগার দেখতে অনেক সুন্দর। এমন কি মসৃন ত্বক আর শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব যে কোনো মেয়েকে করে তোলে সুন্দর ও আকর্ষণীয়। তার সঙ্গে সামান্য মেকআপ আর মিষ্টি একটু হাসি থাকলে, যে কেউই হতে পারে অনন্যা ডিডব্লিউ।
মেয়েদের ত্বকের সৌন্দর্য্য চর্চা করার উপায়
ত্বক সুন্দর করার উপায় দুটি নিম্নে তা দেওয়া হলো।
১. প্রাকৃতিক উপায়
মেয়েদের রুপ চর্চার এটাই আসলে প্রকৃত উপায়। আমরা রুপচর্চায় সাধারনত প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ব্যবহার করি। যেমন শাক-সবজী, ফল এবং এগুলোর পাল্প বা মন্ড ব্যবহার করি। এটা একদিকে যেমন নিরাপদ, তেমনি সাশ্রয়ীও বটে বলা হয়ে থাকে জিরো কস্ট।
নিয়মিত শাকসবজি আর ফল ফলাদি এবং আমিষ জাতীয় খাবর শরীরকে তাজা রাখে। তার সাথে শরীর চর্চা আর ভালো ঘুম এর প্রয়োজন।
২. কসমেটিকস
বর্তমান মেয়েরা বিভিন্ন ক্রিম এর নজর কাড়তেচে সুন্দর চেহারের জন্য। এতে ব্যবহৃত হয় কেমিক্যাল আর কৃত্রিম উপাদান। এর মধ্যে আছে মাড প্যাক এবং অন্যান্য ফেয়ারনেস ক্রীম। অথবা বিভিন্ন কেমিক্যাল এজেন্টের মিক্সার।
বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা ত্বকের সৌন্দর্য্য চর্চায় কসমেটিকসের পরিবর্তে, প্রাকৃতিক পদ্ধতির পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কসমেটিকস ব্যবহারে আপনি ফল পেতেও পারেন আবার নাও পেতে পারেন।
তবে প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বনে সবচেয়ে ভাল ফল পাবেন এটা নিশ্চিত। আর প্রাকৃতিক উপায় দীর্ঘ সময় থাকতে সহায়তা করে।
ঘরে তৈরি বিউটি টিপস
বর্তমানে মেয়েরা রুপ চর্চা নিয়ে বেশির ভাগ ব্যাস্ত থাকে। অনেকে ঘরে বসে বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করে পুরো মুখমণ্ডল সুন্দর করে তুলে। যা অন্য মেয়েরা দেখলে অবাক হয়ে যায়। আর সবাই সুন্দর হওয়া মেয়েকে জিজ্ঞেস করতে থাকে, কি ব্যবহার করে সুন্দর হয়েছে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক কিভাবে ঘরে বসে সুন্দর চেহারার অধিকারী হতে পারেন।
মধু ব্যবহার করে সুন্দর হওয়ার উপায়
মেয়েদের ত্বকের যত্নের জন্য খুবই প্রয়োজন মধু। এবং উজ্জ্বল, সুন্দর ত্বক পেতে বহুল প্রচলিত এবং উত্তম পদ্ধতি হল মধুর ব্যবহার। একচামচ মধু নিন। মুখের ত্বকে লাগান। আস্তে আস্তে বৃত্তাকারে মেসেজ করুন।
এইভাবে দিনে দুইবার সকালে আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন। সপ্তাহ দুই পরে আপনি দেখবেন আপনার ত্বক কেমন উজ্জ্বল আর সোনালী রঙ ধারন করছে। এই ভাবে মেয়েরা মধু ব্যবহার করে ত্বক সুন্দর করে তুলেছে। তবে মনে রাখবেন এখানে শুধুই মধু কথা বলা হয়েছে, মধুর সাথে দুধ মিশানোর কথা বলা হয় নি।
কিছু অসাধু লোক থেকে সাবধান থাকবেন। তারা আপনাকে অনেকে কুসংস্কার কথা বলবে। কেউ বলবে এই গুলো ও গুলো ব্যবহার করো। মানুষের কথা ধরে নিজের মুখমন্ডল নষ্ট করো না।
পেঁপে ব্যবহার করে সুন্দর হওয়ার উপায়
হয়তো আপনারা আগেই জেনে থাকবেন পেঁপের কথা। হ্যাঁ পেঁপে খাওয়ার উপকারীতা আমরা সবাই জানি। তবে এটা আপনার ত্বকের জন্যও খুবই প্রয়োজন। এটাকে টপিক্যাল মেডিসিন হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
অনেকে হয়তো জানে না, পেঁপে ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। ত্বকের যত্নে পেঁপে যেহেতু বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং পেঁপে একধরনের টপিক্যাল মেডিসিন।
প্রথমে একটা পেঁপে নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিন। শাঁসটা পিষে ঘন পেস্টের মত করুন। মুখে লাগান। ইচ্ছে করলে আপনি এই পেস্ট আপনার শরীরে অন্য স্থান ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন বাহু কিংবা যেসব স্থান রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে, সেসব স্থানেও লাগাতে পারেন।
এভাবে ১ ঘন্টা রাখুন। আপনার যদি কোনো কাজ থাকে বা আপনার হাতে সময় কম, সেক্ষেত্রে পেস্ট লাগিয়ে রেখে অন্যান্য কাজ করতে থাকুন। ১ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কমপক্ষে ৩ মাস ব্যবহার করুন। পার্থক্যটা দেখুন। সত্যি কারের আপনি সুন্দরী একজন রমনি হয়ে উটবেন।
তুলসি পাতা ত্বকের জন্য উপকার
অনেক হিন্দু মেয়েরা বলে তুলসিকে বলা হয় ঈশ্বরের দান। এটা খেলে অনেক রোগের উপসম হয়। তবে ত্বকের জন্যও এটা এক বিস্ময়। যারা তুলসির রস ত্বকে ব্যবহার করেন। তারা বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেন। সাথে সাথে স্বাভাবিক ত্বকও হয় আরো সুন্দর আর লাবন্যময়।
প্রথমে তুলসির কিছু পাতা নিন। শীল-পাটা দিয়ে বেটে কিংবা পিষে পেস্ট করুন। আস্তে আস্তে ত্বকে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে হালকা কুসুম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ লাগান। আপনার ত্বক ঝকঝক করবে। যে কোনো মেয়ে তুলসি পাতা পেস্ট ব্যবহার করে অনেক সৌন্দর্যের অধিকারী হতে পারে।
মেয়েদের ত্বক সুন্দর করার জন্য ধরকার গোলাপ জল
খুব অল্প সময়ে সুন্দর ত্বক পেতে গোলাপ জল অনন্য। গোলাপ ফুল কিনে পাঁপড়িগুলো আলাদা করে একদিন জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর প্রতিদিন মুখে ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে যতবার মুখ ধোবেন, ততবারই গোলাপ জল ব্যবহার করবেন।
অনেকের ক্ষেত্রে এমনও দেখা গিয়েছে। যে গোলাপ জল নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রং শুধু সুন্দর ফর্সা হয়েছে তা-ই নয়। একটু গোলাপি বর্নও ধারন করেছে।
মেয়েদের সুন্দর চেহারা আর ত্বকের জন্য দরকার হলুদ
ত্বকের সৌন্দর্য্যে হলুদের ব্যবহার সারাবিশ্বে ব্যপি প্রচলিত। হিন্দু মেয়েরা তাদের পায়ে রঙ মাখাতে হলুদ ব্যবহার করে। এমনকি এটা তাদের কাছে পবিত্র আচার। তবে এখন আর এটা ধর্মীয় আচারে সীমাবদ্ধ নয়।
গবেষণায় প্রমানিত যে হলুদে মেয়েদের ত্বকের রঙ ফর্সা করার গুন আছে। যেহেতু হলুদ দামী বস্তু নয়, তাই আপনি ইচ্ছে করলে আজই এর ব্যবহার শুরু করতে পারেন। মুখে, হাতে, পায়ে নিয়মিত সকালে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদ লাগান। কিছুদিন পরই পার্থক্যটা বুঝবেন। তাই মনযোগী হয়ে মেয়েদের ত্বক ফর্সা এবং মুখ সুন্দর করার উপায় পড়ে নিন।
দই দিয়ে মেয়েদের ত্বক সুন্দর করার উপাায়
আমরা দই খেতে কে না ভালোবাসে। আমরা বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে দই খেতে ভালোবাসি। কেউ জন্মদিনে দয় খায়। আবার দয় বিয়ের দিনে অনেক মজা করে সবাই খেতে পছন্দ করে।
তেমনি দই কি-না আপনার ত্বকও ফর্সা করে! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা সত্যি। প্রতিদিন সকালে ১ টেবিল চামচ দই নিন। মুখে মাখুন। ৪ সপ্তাহের বেশি লাগবে না আপনার মুখে ত্বক ফর্সা হতে। সেই সাথে ব্রণ থাকলে তাও দূর হবে।
দুধের সাথে জাফরান ব্যবহার করে সুন্দরী হতে পারেন
কে না চায় সুন্দরী হতে, বর্তমানে সবাই চায় কিভাবে তারাতারি সুন্দর চেহারা বানাতে। ত্বকের সৌন্দর্য্য রক্ষায় সামান্য কিছু অর্থ খরচ করতে আপনার যদি বিশেষ অসুবিধা না থাকে। তাহলে দুধ আর জাফরান ব্যবহার করতে পারেন। যদিও জাফরান বর্তমানে বেশ দামী উপাদান। ২৫০ মিলি এর মত দুধ নিন। তাতে কিছু জাফরান ফেলে ভালভাবে মেশান।
কোন ধরনের মেসেজ করা ছাড়াই মুখের সারা ত্বকে সমানভাবে লাগান। এভাবে কিছুক্ষন থাকুন। জাফরান মিশ্রিত দুধ মুখে লাগানোর পাশাপাশি খেতেও পারেন। এতে আরো ভাল ফল পাবেন। বেশ কয়েকটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে। দুধ আর জাফরান একসঙ্গে ব্যবহারের ফলে, ত্বক ফর্সা হওয়ার পাশাপাশি গোলাপী আভা ধারন করে। তাই মেয়েদের ত্বক ফর্সা এবং মুখ সুন্দর করার উপায় তারাতাড়ি পড়ে নিন।
মেয়েরা বিশেষ করে যারা চান, তাদের ত্বক যেন ঠিক শিশুদের ত্বকের মত গোলাপী হয়। তাদের জন্য বিশেষ পরামর্শ হল দুধ আর জাফরান একসঙ্গে ব্যবহারের।
চন্দন পেস্টের উপকারিতা
ত্বক আর মুখমন্ডল সুন্দর করার আরেকটি সুন্দর টিপ্স। লক্ষ লক্ষ মেয়েরা চন্দন ব্যবহার করে অনেক সৌন্দর্যের অধিকার লাব করে। চাইলে আপনি ও চন্দন ব্যবহার করে সুন্দরী হতে পারেন। তাহলে নিচে চন্দনের উপকারিতা সম্পর্কে পড়তে থাকুন।
আপনি মাত্র ১ চিমটি চন্দন কাঠের পেস্টই, আপনার এতদিনের ফর্সা হওয়ার স্বপ্ন স্বার্থক করতে পারে। চন্দন পেস্ট ফেইস প্যাকের মত করে একটানা ৩০ দিন ব্যবহার করুন।
আর আশ্চর্য্য ফল লাভ করুন। আর একারনেই বোধ হয় স্যান্ডাল সোপ এত বেশি জনপ্রিয়। চন্দন ব্যবহার করে আপনি খুব তারাতাড়ি সুন্দরী হয়ে উটতে পারেন।
আমাদের সর্বশেষ কিছু কথা জেনে নিন। মেয়েদের ত্বক ফর্সা এবং মুখ সুন্দর করার উপায় এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুুন। আর
উপরোল্লিখিত বিউটি টিপসগুলো নিঃসন্দেহে সাশ্রয়ী এবং কার্যকরি। এগুলো যেকোন সময় আপনার কাজে দেবে। এগুলো ব্যবহারে আপনার কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবারও দরকার নেই।
আর হ্যাঁ, এতসব টিপস পেয়ে আপনার মনে হয়তো সংশয় দেখা দিতে পারে। যে কোনটা রেখে কোনটা ব্যবহার করবো। কিংবা কেউ ভাবতে পারেন একসঙ্গে সবগুলো কিভাবে ব্যবহার করব। এর উত্তর হচ্ছে না।
আপনি যদি কোন কারনে একটাতে সন্তুষ্ট না হন। সেক্ষেত্রে একটা ব্যবহারের পর অন্যটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে কখনোই সবগুলো একসঙ্গে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না।
যদি আমার আর্টিকেল আপনার উপকারে আসে। তাহলে অবশ্যই কমমেন্ড করে জানাবেন। আর আমাদের সাইটে ভিজিট করে আরো নতুন নতুন অনেক কিছু জানুন।
অনেক কিছু জানতে পারলাম
ধন্যবাদ
অনেক কিছু জানতে পারলাম খুব ভালো লাগলো
ধন্যবাদ
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ