শিং মাছের কাটা হাতে ফুটলে করণীয় কী
শিং মাছের কাটা ফুটলে মারাত্মক ব্যাথা হয় এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু শিং মাছের কাটা হাতে ফুটলে করণীয় কি সেটা অনেকেই জানেন না। আজকে আমরা সেই বিষয়টি জানবো।
মাছ ব্যবসায়িরা খালে বিলে পুকুরে পানি সেচে মাছ ধরে। আবার অনেক ছেলে মেয়েরা শখ করে মাছ ধরতে খালে বিলে পুকুরে নামে। শিং মাছের কানের নিচে যে কাটা থাকে তাতে অনেক বিষ থাকে, যা সাপের কামরের বিষের মতো লাগে।
গ্রাম অঞ্চলে অনেক ছেলে মেয়েরা পুকুরে খালে বিলে পানি সেঁচে মাছ ধরে। এতে খালে বিলে অনেক ধরনের মাছ থাকে এবং কি শিং মাছ ও থাকে। শিং মাছ ধরতে গেলে হাতের আঙ্গুলে কাটা লাগে। যখন শিং মাছের কাটা হাতে লাগে তখন, মাছ ধরা থেকে চলে আসবেন উপরে। তার পর হাতে একটা সুতা বা দড়ি দিয়ে বাধতে হবে। তার পর করণীয় নিছে দেওয়া আছে।
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
শিং মাছের কাটা হাতে ফুটলে করণীয়
মাছ ধরার সময় শিং মাছের কাটা হাতের যে আঙুলে লাগবে, তখন পরের আঙ্গুলে সুতা দিয়ে বাঁধতে হবে। আমার এক ওস্তাদ বলে ছিলো পবিত্র কুরআন শরীফের ১৬ পারার শেষের দিকে একটি আয়াত আছে।আয়াত টি হলো-কালা খুজহা আলা তাকহাব সানুইদুহা সিরাতাল উলা।এই আয়াতটি ১৬ বার পড়তে পড়তে মাথা থেকে ডান হাত দিয়ে মুছতে মুছতে হাতের ঐ আঙ্গুলে আসবে,যে আঙ্গুলে সুতলি দিয়ে বাধতে হবে।
তারপর পা থেকে মুছতে মুছতে হাতের ঐ আঙ্গুলে আসবে।তারপর ঐ আঙুল পুরাটা সুতলি দিয়ে প্যাচাতে থাকবে। তারপর আঙুলে মাথায় বিষাক্ত রক্ত জমা হবে। তার পর মান্দার গাছের কাটা বা অন্য যে কোনো গাছের কাটা দিয়ে, আঙ্গুলের মাথায় ফোটা দিলে, রক্ত বের হবে।
অন্তত ৩ ফোটা বের হতে হবে।কাটা দিয়ে ফোটা দেওয়ার সময় সাবধান থাকতে হবে, কাটা যেনো আঙ্গুলের মাথায় ভাঙ্গে না যায়। তার পর সুতা খুলে পেলতে হবে। আস্তে আস্তে ব্যাথা কমে যাবে।
আরো পড়ুন- করোনা ভাইরাসের লক্ষ্মণ এবং করোনা থেকে বাচার উপায়
পায়ে শিং মাছের কাটা ঢুকলে ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি কি
শিং মাছের কাটা যদি পায়ের আঙুলে লাগে। তাহলে পায়ের গিরার উপরে একটা বাধ দিতে হবে সুতলি দিয়ে। কালা খুজহা আলা তাকহাব সানুইদুহা সিরাতাল উলা।
এই আয়াতটি ১৬ বার পড়ে মাথা হতে পা পর্যন্ত হাত দিয়ে আলতো ভাবে মুছতে মুছতে, উপরের নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে। শরীরের যে কোনো অংশে শিং মাছের কাটা ফোটলে এই নিয়ম কানুন গুলো করলে আশা করি ব্যাথা কমে জাবে।
শিং মাছের কাটার ব্যাথা
শিং মাছের কাটা হাতে ফোটলে যদি ব্যাথা না কমে। কুম কুম কিছু গরম পানিতে শিং মাছের কাটা ফোটা স্থানটি কিছুক্ষণ রাখবে আস্তে আস্তে ব্যাথা কমে যাবে।
গ্রাম অঞ্চলে অনেকে বিষকাটালি নামক একটি জঙ্গলা গাছ আছে। বিষকাটালি গাছের ডাল দিয়ে শিং মাছের কাটা ফোটা স্থানে হালকা আলতো ভাবে ঘসলে বা, বা আক্রান্ত স্থানে পিঠালে বা ধরে রাখলে ব্যাথা কমে যায়।
শিং মাছের কাটায় কি থাকে
শিং মাছের কানের নিচে যে কাটা থাকে।এই কাটায় এক ধরনের বিষাক্ত জীবানু থাকে। সাপে কামড় দিলে যেমন পরো শরীর সাপের বিষে ব্যাথা যন্ত্রণা করায়। ঠিক তেমনি শিং মাছের কাটায় বিষাক্ত জীবাণু আছে।
ফ্রিতে ডাক্তারি পরামর্শ নিন
অনেকে অনেক ধরনের কথা বলে,গুরো মরিছ দিলে নাকি ব্যাথা কমে যায় বা সিম বাটি দিলে নাকি ব্যাথা কমে যায়, এই সব গুজবে কান না দেওয়াই ভালো। শিং মাছের ফোটা স্থান টিপাটিপি বা ঘসাঘসি না করাই ভালো, হালকা আলতো ভাবে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া কনো পদ্ধতি না জানলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।অনেকে বলে শিং কাটা লাগলে ডাক্তার এর পরামর্শ কেনো নিবেন বা বাধা দিবে।তারা আপনাকে বলবে কিছুক্ষণ পর ব্যাথা কমে যাবে।এই সব কথায় কান দিবেন না,মনে রাখবেন অল্প থেকে অনেক বড় সমস্যা হতে পারে।
তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার এর পরার্মশ নিন,এবং ফ্রিতে কল করে জেনে নিন যে কোনো স্বাস্থ্যসেবা ১৬২৬৩। আপনি ২৪ ঘন্টা যে কোনো নাম্বার থেকে কল করে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন।
আরো পড়ুন – স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল পোস্ট
আশা করি, শিং মাছের কাটা হাতে ফুটলে করণীয় কি এ বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি। নিত্য নতুন স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপ্স পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
উপকৃত হলাম।
ধন্যবাদ