সংসার সুখী হওয়ার উপায় | সুখে থাকার ২০ টি কারণ
বর্তমান সমাজে প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে স্বামী – স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া চলতেছে। একটা নারী চাইলে, একটা অগোছালো পরিবারকে সুখি পরিবার বানাতে পারে। কথায় আছে, সংসার সুখি হয় রমনির গুনে। তাই আজ সংসার সুখী হওয়ার উপায় লিখলাম।
একটা নারী চাইলে অনেক ছেলেকে খারাপ বানাতে পারে। তেমনি একটা নারি চাইলে অনেক ছেলেকে ভালো ও বানাতে পারে। সমাজে নারী পুরুষ অভয় ঝগড়া করে থাকে। আবার সমাজের লোকজন সমাধান ও করে থাকে। কিন্তু নারীর দের মেজাজ গরম হওয়া ঠিক নয়।
অনেক পরিবারে দেখা যায় নারীদের কন্ঠসর আওয়াজ অনেক। মানে অনেক আওয়াজ করে কথা বলে,ঝগড়া করে থাকে। পরিবারে মেয়েদের কথার আওয়াজ থাকবে আস্তে আস্তে, মিষ্টি ভাষায়। নারীদের বেশি রাগ দেখানো ঠিক নয়, অবার পনঠিতি করা ও ঠিক নয়।
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
সংসার সুখী হওয়ার উপায়
এক নারী চেষ্টা করলে, তার খারাপ স্বামীকে ভালো করতে পারে। মনে রাখবেন আপনার খারাপ স্বামী একদিন, বা দুইদিনে ভালো হবে না। তাকে আপনি আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে মায়া মমতা ভালোবাসা দিয়ে, ভালো করার চেষ্টা করুন। দেখবেন ইনশাআল্লাহ সেই আপনার ঈমানদার স্বামী হিসাবে তৈরি হয়ে গেলো।
আপনার ছেলে মেয়ে থাকলে, তাদেরকে আদর যত্ন ব্যাস্ত থাকবেন। তাদের খাওয়ার সময় খাওয়াবেন।
শশুর শাশুড়ী কে নিজের আপন মা বাবা হিসাবে সম্মান করবেন। তাদের খেদমত করবেন। তাহলে আপনার সংসার সুখি হবে।
আরো পড়ুনঃ
মেয়েদের ত্বক ফর্সা এবং মুখ সুন্দর করার উপায়
মেছতা দূর করার উপায়
সংসার সুখী হওয়ার উপায়
আপনার পরিবারকে সুখে রাখতে এই উপায় গুলো কনটিনিউ করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার সংসার সুখের হবে।
১. সব সময় নিজেকে পরিবারের প্রাণ মনে করুন।
২. স্বামী সামনে মোবাইল টিপা থেকে বিরত থাকুন।
৩. স্বামী বাহিরে গেলে, অন্যর সাথে চুরি করে মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
৪. সংসারের কাজকে ইবাদত মনে করুন। শশুর শাশুড়ীর খেদমত করুন।
৫. রান্নাটা ভালো করার চেষ্টা করুন। রান্না করার সময় মোবাইলে গান, ইউটুব দেখা থেকে বিরত থাকুন।
৬. স্টার জলসা, জি বাংলা টিভির নাটক গুলো দেখা থেকে বিরত থাকুন।
৭. স্বামী বাহিরে থাকলে, ঘরে বসে ঘরের কাজ করুন।
৮. স্বামীকে বন্ধু, জীবনসঙ্গী, দিশারী ও পরিবারের প্রধান হিসেবে বিবেচনা করুন।
৯. স্বামীকে লুকিয়ে কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
১০. স্বামীর কোনো দোষ থাকলে, স্বামীকে বুঝিয়ে বলুন।
সংসার সুখী হওয়ার কারণ
১১. স্বামীর বন্ধুদের সাথে কথা কম বলতে চেষ্টা করুন।
১২. স্বামীর ভালো কাজ, অবদান ও কৃতিত্বের জন্যে গর্ববোধ করুন।
১৩. স্বামীর প্রতি সর্বাবস্থায় বিশ্বস্ত থাকুন। ভালবাসা ও অনুরাগ কথা ও আচরণে প্রকাশ করুন।
১৪. আপনি নিজে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন, পরিবারের অন্যদের নামাজ পড়তে বলুন।
১৫. মাঝে মাঝে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করুন। আর স্বামীকে দেখানোর জন্য সেজে গুজে নিজেকে রাখতে পারেন।
১৬. স্বামী-সন্তান বাইরে থেকে আসার সঙ্গে সঙ্গে কোনো সমস্যার কথা বলা, অথবা অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন।
১৭. কোনো ভুল বা অন্যায় হয়ে গেলে নিঃসঙ্কোচে স্বীকার করুন ও স্বামীর কাছে মাফ চেয়ে নিন।
১৮. স্বামীর কাছে কোনো অযৌক্তিক আবদার করা থেকে বিরত থাকুন।
১৯. নিজের হাত-খরচা থেকে কখনো কখনো সম্ভব হলে স্বামীর জন্যে ছোট-খাটো উপহার কিনুন। নিজের অর্থ প্রয়োজনে স্বামী ও সংসারের জন্যে খরচ করুন।
২০. আপনার মোবাইলে কোনো ছেলে কল দিয়ে বিরক্ত করলে, স্বামীর কাছে আগে শেয়ার করুন।
সর্বশেষ কথা
সবসময় আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখুন। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। স্বামীর খেদমত করুন। স্বামীকে ভালোবাসুন। স্বামীর আদেশ মেনে চলুন।
ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী পর্দা করে চলতে চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার সংসার সুখি হবে। আপনি নিজে খুজন সুখে থাকার জন্য কি করতে হবে। আর সেই অনুযায়ী কাজ করুন সুখ আসবেই। একটা কথা আছে, দুঃখের পরেই সুখ আসে।
লিখেছেনঃ তামিম ইকবাল